প্রজাহিতৈষী হিসেবে একজন মহান শাসকের মূর্ত প্রতীক ছিলেন খলিফা ওমর
প্রজাহিতৈষী হিসেবে একজন মহান শাসকের মূর্ত প্রতীক ছিলেন খলিফা ওমর
হযরত ওমর ফারুক ছিলেন মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা।
তিনি ৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে কুরাইশ বংশের আদি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম হাফ্স।
ইসলাম গ্রহণের পর তিনি ফারুক (সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধিতে ভূষিত হন। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন যেমন কঠোর তেমনি মানুষের দুঃখ-কষ্টে তিনি ছিলেন অতি কোমল।
তিনি সাধারণ প্রজাদের অবস্থা জানার জন্য রাতের আঁধারে একাকী বের হয়ে পড়তেন। প্রয়োজনে নিজের কাঁধে খাদ্য সামগ্রী বহন করে গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিতরণ করতেন।
তার শাসনামলে রাজ্যে কোন অভাব-অনটন ছিল না। সেসময় কৃষি কাজে ব্যাপক উন্নতি হয়েছিল।
তিনি ডাকবিভাগ প্রবর্তন, সাম্য ও ন্যায় এর বাস্তব শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি হিজরী সন প্রবর্তন করেন। জনকল্যাণে তিনি অসংখ্য মসজিদ, বিদ্যালয়, সেতু, সড়ক, হাসপাতাল নির্মাণ করেন। পানির জন্য তিনি অনেক খালও খনন করেন।
ইনসাফ প্রতিষ্ঠার তিনি বায়তুলমাল থেকে প্রাপ্ত কাপড় সেই পরিমাণ গ্রহণ করতেন যে পরিমাণ সকলের জন্য নির্ধারিত ছিল।
জেরুজালেমে যাওয়ার পথে ভৃত্যকে উটের পিঠে চড়িয়ে নিজে উটের রশি ধরার দৃষ্টান্ত একজন ন্যায়পরায়ণ শাসকের বিরল ঘটনা।
অর্ধপৃথিবীর শাসক হয়েও তাঁর কোন দেহরক্ষী ছিল না, খেজুর পাতার আসন ছিল তাঁর সিংহাসন। জনসেবাই ছিল তাঁর ব্রত।
তাই বলা যায়, প্রজাহিতৈষী হিসেবে একজন মহান শাসকের মূর্ত প্রতীক ছিলেন খলিফা ওমর (রা.)
সকল বিষয়ের আপডেট তথ্য পেতে আমাদের Facebook page ও Facebook group এ যোগ দিন।
আরও দেখুনঃ-