সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হযরত উমর (রাঃ) এর খেলাফত
সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হযরত উমর (রাঃ) এর খেলাফত
সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা হযরত উমর (রাঃ) এর খিলাফত থেকে কী কী শিক্ষা লাভ করতে পারি? তোমার পাঠ বইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
হযরত ওমর (রা.)-ছিলেন মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা।
ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বক্কর সিদ্দিক (রা.)-এর ইন্তেকালের পরে তার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী হযরত ওমর (রা.)-৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা নির্বাচিত হন, তা অধিকাংশ সমর্থন করেন।
তিনি ৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে কুরাইশ বংশের আদি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম আবু হাফ্স, পিতার নাম খাত্তাব, মাতার নাম হানতামা।
ইসলাম গ্রহণের পর তিনি ফারুক(সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধিতে ভূষিত হন। বাল্যকালে তিনি উট চরাতেন, যৌবনের শুরুতে যুদ্ধবিদ্যা, কুস্তি, বক্তৃতা ও বংশ তালিকা সম্পর্কে পারদর্শী ছিলেন।
হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর নবুয়তপ্রাপ্তির সময় কুরাইশ বংশের ১৭ জন ব্যক্তি লেখাপড়া জানতেন, তিনি তাঁদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম।
হযরত ওমর (রা.) খলিফা নির্বাচিত হওয়ার পর মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে।
এসময় রোম, পারস্য, সিরিয়া, মিশর ও ফিলিস্তিন মুসলিম সাম্রাজ্যভুক্ত হয়।
তিনি রাজ্যশাসনে রাসুল (স.)-এর আদর্শ অনুসরণ করতেন। তিনি আইনের চোখে সকলকে সমান ভাবে দেখতেন।
এমনকি মদপানের অপরাধে স্বীয়পুত্র আবু শামাকে শাস্তিদানে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি।
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন যেমন কঠোর, তেমনি মানুষের দুঃখ-কষ্টে ছিলেন অতি কোমল।
তিনি সাধারণ প্রজাদের অবস্থা জানার জন্য রাতের আঁধারে একাকী বের হয়ে পড়তেন। প্রয়োজনে তিনি নিজের কাঁধে খাদ্য সামগ্রী বহন করে গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিতরণ করতেন।
হযরত ওমর (রা.)-এর সরলতা ও কর্তব্য জ্ঞান ছিল তাঁর জীবনাদর্শ। ন্যায়-পরায়নতা ও একনিষ্ঠতা ছিল তার শাসনামলের মূলনীতি। তারমধ্যে কঠোরতা ও কোমলতার ব্যাপক সমন্বয় ঘটেছিল।
আমরা হযরত ওমর (রা.)-এর মহান আদর্শ মেনে চলবো এবং সে অনুসারে জীবন গড়বো।
এই ছিল ৮ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ৫ম এসাইনমেন্ট এর সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা হযরত উমর এর খেলাফত থেকে কী কী শিক্ষা লাভ করতে পারি? তােমার পাঠ্য বইয়ের আলােকে বিশ্লেষণ।
সকল বিষয়ের আপডেট তথ্য পেতে আমাদের Facebook page ও Facebook group এ যোগ দিন।
আরও দেখুনঃ-
- আল-আসমাউল হুসনা বলতে কী বোঝায়?
- আল্লাহ পাকের ০৫ টি গুনবাচক নাম অর্থসহ লেখ।
- তুমি কিভবে আল্লাহর গুনে গুণান্বিত হতে পার?
- দুনিয়া আখিরাতের শস্যক্ষেত্র – ব্যাখ্যা কর।