বিদ্যুৎ পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের নাম লিখ।
যে সকল পদার্থর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ খুব সহজেই হয়, বিশেষ কোনো বাধার সম্মুখীন হয় না তাকে বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ বা সুপ্রিবাহী পদার্থ বলে । সাধারণত সব ধাতুই কম-বেশি ভালো বিদ্যুৎবাহী । উধাহারণে রূপা, তামা, অ্যালুমিনিয়াম বিশেষ উল্লেখযোগ্য । ধাতব পদার্থ ছাড়া মাটি, প্রাণীদেহ, কার্বন, কয়লা পরিবাহকের কাজ করে ।
বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থের তালিকা নিম্নরূপ –
- রূপা (As)
- তামা (Cu)
- অ্যালুমিনিয়াম (Al)\সোনা (Ag)
- টাংস্টেন (Tn)
- দস্তা (Zn)
- ক্যাডমিয়াম (Cd)
- পিতল (Brass)
- লোহা (Fe)
- টিন (Sn)
- নিকেল (Ni)
- ইস্পাত (Steel)
- জার্মান সিলভার (Alloy)
- সীসা (Pb)
- ম্যাঙ্গানীজ (Mn)
বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থ
যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ সহজে চলাচল করতে পারে না, প্রবাহ পথে প্রচুর বাধার সম্মুখীন হয় তাকে বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থ বা কু-পরিবাহী পদার্থ বা অন্তরক বা ইন্সুলেটর বলে। অপরিবাহী পদার্থের মধ্যে তড়িৎপ্রবাহ তুলনামূলকভাবে খুব কম হয়, যাকে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা চলে। শুষ্ক বায়ু, শুকনো কাপড়, কাচ,শুকনো কাঠ, রাবার, কাগজ, এবোনাইট, ব্যাকেলাইট ইত্যাদি অপরিবাহী পদার্থ অন্তরকের কাজ করে। মধ্যে কাঠ, কাগজ ও কাপড় ভিজে গেলে আবার পরিবাহকের কাজ করে।
বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থের তালিকা
বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থের তালিকা নিম্নরূপ –
- অ্যাসবেসটস (Asbestos)
- ব্যাকেলাইট (Bakelite
- কাচ (Glass)
- এবোনাইট (Ebonite)
- গাট্টা পার্চ্চা (Gutta Percha)
- মাইকা (Mica)
- তেল অনুষিক্ত কাগজ (Oiled Paper)
- শুষ্ক কাগজ (Dry Paper)
- প্যারাফিন (Parafin)
- পলিথিন (Polythin)
- চীনামাটি (Porcelain)
- রবার (Rubber)
- সে্ললট পাথর (Slate Stone)
- মার্বেল পাথর (Marbel Stone)
- শুকনো কাঠ (Dry Wood)
- বার্নিশ করা মিহি কাপড় (Vernished Cloth)
সকল বিষয়ের আপডেট তথ্য পেতে আমাদের Facebook page ও Facebook group এ যোগ দিন।
আরও দেখুনঃ