class 8 Science Assignment

চিংড়ি, মৌমাছি, ফিতা কৃমি, সাপ, কাক, তারা মাছ, ঝিনুক, রুই মাছ, বিড়াল, হাহড্রা – প্রাণীগুলো থেকে যে কোনো ৮টির পর্ব, বৈশিষ্ট্য ও বাসস্থান উল্লেখ করে একটি ছক তৈরি কর। এগুলোর মধ্যে থেকে তোমার পরিচিত প্রাণীগুলোর কিরুপ প্রভাব তোমার জীবনে রয়েছে তা উল্লেখ কর।

চিংড়ি, মৌমাছি, ফিতা কৃমি, সাপ, কাক, তারা মাছ, ঝিনুক, রুই মাছ, বিড়াল, হাহড্রা – প্রাণীগুলো থেকে যে কোনো ৮টির পর্ব, বৈশিষ্ট্য ও বাসস্থান উল্লেখ করে একটি ছক তৈরি কর। এগুলোর মধ্যে থেকে তোমার পরিচিত প্রাণীগুলোর কিরুপ প্রভাব তোমার জীবনে রয়েছে তা উল্লেখ কর।

চিংড়ি, মৌমাছি, ফিতা কৃমি, সাপ, কাক, তারা মাছ, ঝিনুক, রুই মাছ, বিড়াল, হাহড্রা – প্রাণীগুলো থেকে যে কোনো ৮টির পর্ব, বৈশিষ্ট্য ও বাসস্থান উল্লেখ করে একটি ছক তৈরি কর। এগুলোর মধ্যে থেকে তোমার পরিচিত প্রাণীগুলোর কিরুপ প্রভাব তোমার জীবনে রয়েছে তা উল্লেখ কর।

নোটঃ চকটি উপরে পিকচার এর মত আকবে এবং চকের ভিতরে ৮ টি প্রানীর নাম,পর্ব বৈশিষ্ট্য,বাসস্থান লিখবে।যেহেতু এখানে চক অনুযায়ী লিখতে সমস্যা হবে তাই আমি নিচে ধারাবাহিক ভাবে ৮ টি প্রানীর নাম,পর্ব বৈশিষ্ট্য,বাসস্থান লিখতেছি। তোমরা চকে লিখে নিবে।

১ ) চিংড়ি – ( Arthropoda ),

বৈশিষ্ট্য: মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপঙ্গ বিদ্যমান। নরম দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত। দেহের রক্তপূর্ণ গহবর হিমােসিল নামে পরিচিত।

বাসস্থান: এরা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বসবাস ঝরে। এদের বহু প্রাণী জ্বলে, স্বাদু পানিতে ও সমুদ্রে বাস করে।

উপকারিতা: চিংড়ি মাছ আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে থাকে।

অপকারিতা: কারাে কারো ক্ষেত্রে চিংড়ি মাছ খেলে এলার্জি জনিত সমস্যা হতে পারে।

০২ ) মৌমাছি –

পর্ব: আথ্রোপােডা ( Arthropoda ),

বৈশিষ্ট্য: মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান। নরম দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত। দেহের তনয় রক্তপূর্ণ গহবর হিমােমিল নামে পরিচিত।

বাসস্থান: এরী পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বসবাস করে। এদের বহু প্রাণী স্থলে , স্বাদু পানিতে ও সমুদ্রে বসি করে।

উপকারিতা: মােমাছি সাহায্যে উৎপাদিত মধু আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে থাকে। হতে পারে।

অপকারিতা: মােমাছি কামড়ে বিষাক্ত জনিত ব্যথা হয়।

৩ ) ফিতা কৃমি

পর্ব: প্লাটিহেলমিনথেস ( Platyhelminthes ),

বৈশিষ্ট্য: দেহ চ্যাপ্টা , উভলিঙ্গ। এরা বহিঃপরজীবী ও অন্তঃপরজীবী। পুরাে কিউটিকল দ্বারা আবৃত থাকে দেহে চোষক ও আংটা থাকে। দেহে শিখা অঙ্গ নামে বিশেষ অঙ্গ থাকে। এগুলাে রেচন অঙ্গ হিসাবে কাজ করে। পৌষ্টিকতন্ত্র অসম্পূর্ন বা অনুপস্থিত।

বাসস্থান: এই পর্বের বহু প্রজাতির বহিঃপরজীবী , অন্তঃপরজীবী হিসেবে অনজীব দেহের বাইরে বা ভিতরে বসবাস করে। এ পর্বের কিছু প্রজাতি মুক্তজীবী হিসেবে স্বাদু পানিতে আবার কিছু প্রজাতি লবণাক্ত পানিতে বাস করে। তবে এ পর্বের কোনাে কোনো প্রাণী ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে বাস করে।

উপকারিতা: ফিঅকৃমির কোন উপকারিতা নেই।

অপকারিতা: ফিতাকৃমি দেহে বমি বমি ভাব , পেট ব্যথা ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারে।

৪ ) সাপ

পর্ব: কর্ডাটা ( Chordata ) এর সরীসৃপ ( Reptilia ).

বৈশিষ্ট্য: বুকে ভর করে চলে। ত্বক শুষ্ক ও আঁশযুক্ত। চারপায়েই পাঁচটি করে নখর যুক্ত আঙ্গুল আছে।

বাসস্থান: এরা বৃক্ষবাসী , মরুবাসী , মেরুবাসী , গুহাবাসী , খেচর ইত্যাদি হয়ে থাকে।

উপকারিতা: ধান ক্ষেতের ইদুর এবং ক্ষতিকর পােকা দমন সপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

উপকারিতা: সাপের কামড়ের ফলে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।

৫ ) কাক

পর্ব: কর্ডাটা ( Chordata ) এর পক্ষীকুল ( Aves ),

বৈশিষ্ট্য: দেহ পালকে আবৃত। দুটি ডানা , দুটি পা ও একটি চঞ্চ আছে। ফুসফুসের সাথে বায়ুথলি থাকায় সহজে উড়তে পারে । এরা উষ্ণ রক্তের প্রাণী। হাড় শক্ত , হালকা ও ফাপা।
বাসস্থান: এরা বৃক্ষবাসী।

উপকারিতা: কাক পরিবেশের ময়লা আবর্জনা খেয়ে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে।

অপকারিতা: কাক মানুষের উৎপাদিত বিভিন্ন ফল গছি থেকে খেয়ে নষ্ট করে ফেলে।

৬ ) ঝিনুক

পর্ব: মলাস্কা ( Mollusca ),

বৈশিষ্ট্য: দেহনরম । নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খােলস দ্বারা আবৃত থাকে। পেশীবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে। ফুসফুস বা ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।

বাসস্থান: এদের প্রায় সবাই সামুদ্রিক এবং সাগরের বিভিন্ন স্তরে বাস কয়ে। তবে কিছু কিছু প্রজাতির পাহাড়ি অঞ্চলে বন – জঙ্গলে ও স্বাদু পানিতে বাস করে। পানিতে

উপকারিতা: সবুজ ঝিনুক পেশি , টিস্যু ও কোশকে চাঙ্গা করে তােলে , যা স্নায়ুর বিকাশে সহায়ক। অ্যাস্থমা রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ঝিনুকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি বাতের ব্যথা ও শরীরের স্টিফনেস সারাতে সায়ক। দেহের প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়িতে তুলতে ঝিনুক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অপকারিতা: পাচনতন্ত্র এবং প্লীহা রােগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঝিনুক মারাত্মক ধরনের সমস্যা হওয়ার ভয় থাকে।

৭ ) রুই মাছ

পর্ব: কর্ডাটা ( Chordata ),

বৈশিষ্ট্য: অধিকাংশই স্বাদু পানির মছি। মাথার দুই পাশে ৪ জোড়া ফুলকা থাকে। ফুলকা গুলাে কানকো দিয়ে ঢাকা থাকে। ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।

বাসস্থান: স্বাদু পানি , সমুদ্র ইত্যাদি।

উপকারিতা: রুই মছি আমাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করে। প্রতিরোধ কম্বেস্তিয়ৱীৱজরাবা ব্যাকটেরিয়ায়

অপকারিতা: অতিরিক্ত মাছ খেলে রােগ কমে গিয়ে শরীর ভাইরাস বা আক্রান্ত হতে পারে, হতে পারে রোগ সংক্রমণ।

৮ ) বিড়াল

পর্ব : স্তন্যপায়ী ( Mammalia ),

বৈশিষ্ট্য: দেহ লােমে আবৃত থাকে। উষ্ণ রক্তের প্রাণী। চোয়ালে বিভিন্ন ধরনের দাঁত থাকে। হৃদপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।

বাসস্থান: এরা স্থলে বসবাস করে।

উপকারিতা: বিড়াল ঘরের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাহায্য করে।

অপকারিতা: বিড়ালের আঁচড়ে কামড়ে বিভিন্ন রকমের রােগের সৃষ্টি হতে পারে।
আর এইভাবে উপরােক্ত আলােচনার মত আমাদের জীবনে এসকল পরিচিত প্রাণীগুলাে বিভিন্ন রকম প্রভাব ফেলে।

Similar Posts