তোমার শরীরে হালকা জ্বর ও ডাইরিয়া কী করনে হয় বলে তুমি মনে কর
তোমার শরীরে হালকা জ্বর ও ডাইরিয়া কী করনে হয় বলে তুমি মনে কর
আমার শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া অণুজীবের সংক্রমনের কারণে হয়।
ব্যাকটেরিয়া জীবাণু দেহাভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করতে পারে ।
অপরিষ্কার হাত জীবাণুর জন্য একটি সুবিধাজনক বাহন, যার মাধ্যমে সহজেই এরা মুখগহ্বরের ঢুকে যেতে পারে ।
আমরা যে জামা কাপড় ব্যবহার করি, তাতে লেগে ব্যাকটেরিয়ার স্পোর স্থানান্তরিত হতে পারে ।
বাতাসে ধুলাবালি উড়ে বেড়ায় তার সাথে অতি সহজেই ব্যাকটেরিয়া বা তার স্পোর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে।
হাত মেলানোর মাধ্যমেও ব্যাকটেরিয়া একজন থেকে অন্যজনে অতি সহজে স্থানান্তরিত হতে পারে ।
পচা-বাসি খাবারের মাধ্যমে জীবাণু সহজেই ছড়ায় । ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও এন্টামিবা মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগ ছড়ায় ।
১। তোমার বাড়ীর দেওয়ালে অথবা আশে পাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রং কী কারনে হয় বলে তুমি মনে কর।
ডায়রিয়ার লক্ষণ
- ২৪ ঘণ্টায় তিনবার বা এর বেশি পানিসহ পাতলা পায়খানা হওয়া।
শরীর দুর্বল হওয়া। - খাওয়ায় রুচি কমে যাওয়া।
- ডায়রিয়া শুরুর প্রথম দিকে বমি হয়। পরে অনেক ক্ষেত্রে বমি কমে যায়।
- জ্বর এলেও তা খুব একটা তীব্র হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শরীর হালকা গরম থাকে।
ডায়রিয়ার কারণ
দূষিত খাবার
দূষিত পানি
রোগজীবাণু
কৃমি
ডায়রিয়া হলে করণীয়
- ডায়রিয়া যত দিন চলে, তত দিন রোগীকে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। স্যালাইন শরীরে পানিশূন্যতা রোধ করে। কলেরার জীবাণু দ্বারা ডায়রিয়া হলে প্রতিদিন শরীর থেকে ২০-৩০ লিটার পানি বের হয়ে যায়; যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
- ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে খাবার স্যালাইন, ভাতের মাড় বা অন্য কোনো বিশুদ্ধ পানীয় পান করালে শরীরে লবণ-পানির ঘাটতি কমবে। তবে ঘাটতি বেশি হলে সে ক্ষেত্রে কলেরা স্যালাইন দিতে হবে।
শিশুর ডায়রিয়া হলে ঘরে বসে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। যেমন:
বারবার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
ছয় মাসের কম বয়সী শিশুকে শুধু মায়ের দুধ ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
বেশি করে তরল খাবার যেমন: ভাতের মাড়, চিড়ার পানি, ডাবের পানি খাওয়াতে হবে।
খাবার তৈরির আগে, শিশুকে খাওয়ানোর পূর্বে এবং পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। অল্প করে বারবার খাওয়াতে হবে।
যেসব শিশু মায়ের দুধ খায়, তাদের ঘনঘন মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক জিঙ্ক খাওয়াতে হবে।
বোতলের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় চামচ ব্যবহার করতে হবে।
ডায়রিয়া হলে যা করা যাবে না
খাবার বন্ধ করা যাবে না।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ দেওয়া যাবে না।