ছত্রাককে মৃতজীবী বলা হয় কেন?
ছত্রাক (Fungus) ক্লোরোফিলবিহীন সালোকসংশ্লেষে অক্ষম, পরজীবী বা মৃতজীবী উদ্ভিদ। এদের আকার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এদের কোনো কোনোটি অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না। আবার কোনো কোনোটি অনেক বড় আকারের হয়ে থাকে। আজ পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ প্রজাতি শনাক্ত করা গেলেও সংখ্যাটি দ্বিগুণ হতে পারে।
বাংলাদেশে ছত্রাককুলের পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা এখনও শেষ হয় নি। ছত্রাকের প্রকৃত মূল, কান্ড এবং পাতা নেই। এখানকার আর্দ্র জলবায়ু ছত্রাকের বৃদ্ধি ও বিকাশের অত্যন্ত অনুকূল এবং সেজন্য এখানে নানা জাতের অজস্র ছত্রাক থাকা সম্ভব। কৃষিপ্রধান দেশ বিধায় এখানে ধান, পাট, আখ, চা, টমেটো, আলু, বেগুন, মরিচ, গম ও ভুট্টার মতো অনেকগুলি প্রধান ফসলের ক্ষতিকর ছত্রাক রয়েছে এবং সেগুলি শনাক্ত করা হয়েছে। অপরাপর বিভিন্ন প্রকার ছত্রাকের আক্রমণের কারণে জীবদেহে নানা প্রকার রোগের সৃষ্টি হয়। অপর দিকে পেনিসিলিয়াম (penicillium) জাতীয় ছত্রাক থেকে জীবন রক্ষাকরী পেনিসিলিন ঔষধও পাওয়া যায়।
ছত্রাককে মৃতজীবী বলা হয় কেন?
ছত্রাক সমাঙ্গদেহী অসবুজ উদ্ভিদ। এদের দেহে ক্লোরোফিল থাকে না। ফলে এরা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করতে পারে না। খাদ্যের জন্য এরা মৃত জীবদেহের ওপর নির্ভর করে। এছাড়া এরা মৃত জীবদেহ বা জৈব পদার্থে পূর্ণ এমন মাটিতে জন্মায়। এ কারণে ছাত্রাককে মৃতজীবী বলা হয়।
সকল বিষয়ের আপডেট তথ্য পেতে আমাদের Facebook page ও Facebook group এ যোগ দিন।
আরও দেখুন…
ক) এমেবিক আমাশয় কোন অণুজীবের কারনে হয়?
খ) ব্যাকটেরিয়াকে আদি কোষী বলা হয় কেন?
গ) উদ্দীপকের প্রথম অণুজীবটি (ভাইরাস) উদ্ভিদের কোন কোন রোগ সৃষ্টি করে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ) উদ্দীপকের প্রথম অণুজীবটির (ব্যাকটেরিয়া) অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।